গাজীপুর প্রতিনিধি :
জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন ও জংশনে ট্রেন থামিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন সংগঠন। এতে সকালে ঢাকা অভিমূখী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় কিছু যাত্রী ক্ষোভ জানালে আন্দোলনে অংশগ্রহণ কারীদের হাতে তারা ও ষ্টেশন মাষ্টার হেনস্তার স্বীকার হন। তবে অন্যান্য যাত্রীরা বলেন, স্থায়ী ভোগান্তি সমাধানের জন্য সাময়িক ভোগান্তি তাদের কাছে কোনো বিষয় নয়। আন্দোলন নিয়ে আব্দুর রহমান নামক এক যাত্রী বলেন, জয়দেবপু রেল স্টেশন যেনো যাত্রী ভোগান্তির এক অভয়াশ্রম। গাজীপুর মহানগর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নগর হওয়ার পরও অবহেলিত এই জনপদ। ঢাকায় যাওয়ার জন্য সড়কপথে যানজটের কারণে সড়কপথের পরিবর্তে সাধারন জনগণের জন্য সহায়ক হলো রেল যোগাযোগ। তিনি জয়দেবপুর স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেন থামাসহ জয়দেবপুর থেকে এক ঘন্টা পরপর কমিউটার ট্রেন চালু, তুরাগ ট্রেনের মাসিক টিকেট ৪৫০/- করা, ট্রেনের বগি বৃদ্ধি করা, মহিলাদের জন্য আলাদা বগি দেয়া, পূর্বে চলতো এমন ট্রেন পুণরায় চালু করা, জয়দেবপুর স্টেশনের বরাদ্দকৃত টিকিট সংখ্যা বাড়ানো, আসন বিহীন টিকেটের মূল্য স্টেশন অনুযায়ী ২০ ও ৩০ টাকা করা এবং গাজীপুরের দুঃখ রেলগেটের জনদূর্ভোগ কমানোর জন্য ফ্লাইওবার নির্মাণের দাবী জানান।
এবিষয়ে জয়দেবপুর ষ্টেশন মাষ্টার বলেন, আমি ষ্টেশন কর্তব্যরত অবস্থা ছিলাম আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করে আমাকে অর্তকিত ভাবে হেনস্থা করে। পরবর্তিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তারা ক্ষমা চায়।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী সামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্ত্য রাখেন ভাষাসৈনিক এড. আলাউদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া, শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান নূর, পেশাজীবি নেতা অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান প্রমুখ। এসময় সকল নেতৃবৃন্দই দাবীগুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।